Class 3 math ২২ page | Class 3 math || প্রাথমিক গণিত ২০২৪ | হাটে না রেখে...

মেয়েদের বয়ঃসন্ধিকাল কখন শেষ হয়

 

মেয়েদের বয়ঃসন্ধিকাল কখন শেষ হয় 


মেয়েদের জীবনে বয়ঃসন্ধি একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্ব। এটি যে সময়ে শেষ হয় সেটি অনেকটা ব্যক্তিগত এবং পরিস্থিতি উপর নির্ভর করে। তবে, ধারণা করা যায় যে এই অবসরটি মেয়েদের জীবনের একটি মৌলিক অংশ এবং এর শেষের সময়ে তাদের উচ্চতর শিক্ষার সাথে আলাদা হতে হয়।


বয়ঃসন্ধি মেয়েদের জীবনে একটি মানসিক এবং শারীরিক পরিবর্তনের সময়। শারীরিকভাবে, এটি হোরমোনাল পরিবর্তনের কারণে তাদের শারীরিক গঠনে পরিবর্তন আনে। মেয়েদের হোরমোনাল পরিবর্তন শুরু হতে পারে প্রায় ৮-১৪ বছরের মধ্যে, যা প্রায় প্রতি মেয়ের জীবনের একটি সাধারণ ধাপ। মানসিকভাবে, বয়ঃসন্ধি সময়টি মেয়েদের জীবনে একটি মহৎ সময় কারণ এটি তাদের প্রেম জীবন, সহযোগিতা, এবং আত্মবিশ্বাসে পরিবর্তন আনতে পারে।


বয়ঃসন্ধির সময়ে মেয়েদের শারীরিক এবং মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। তাদের শারীরিক পরিবর্তনের জন্য তাদের সাথে একটি প্রেরণাদায়ক ও সহানুভূতিপূর্ণ পরিবারের সমর্থন প্রয়োজন। এছাড়াও, মানসিক চিন্তা, প্রেম বা আত্মবিশ্বাসের সমস্যা সম্মুখীন হতে পারে যা মেয়েদের মধ্যে মনোবিকার উত্পন্ন করতে পারে। এই সমস্যাগুলির সাথে সহজে মুক্তি পেতে সমাজের মধ্যে প্রশিক্ষণ এবং সহানুভূতিপূর্ণ বিচারশীলতা প্রয়োজন।

======&===❤️❤️[[[]]]]]====[[[[[]]]]=====❤️❤️❤️❤️


এই যুগে, স্কুল ও শিক্ষার পরিস্থিতিতে একটি ভূমিকা রয়েছে যা বয়ঃসন্ধির সময়ে মেয়েদের জন্য সুবিধাজনক করে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই সময়ে স্ত্রীদের জন্য আলাদা পরিবেশ এবং মহিলা শিক্ষকের উপস্থিতিতে বয়ঃসন্ধির সাথে সম্পর


পিরিয়ড মিস হওয়ার আগে গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ

 

পিরিয়ড মিস হওয়ার আগে গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ



মহিলারা পিরিয়ড মিস হওয়ার আগে গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ অনুভব করতে পারেন। এই লক্ষণগুলি মহিলার শরীরে পরিবর্তন আনতে পারে এবং গর্ভবতী হওয়ার সূত্র হতে পারে।



**১. নিজের শরীরে পরিবর্তন:**

অনেক মহিলারা গর্ভবতী হওয়ার সময় তাদের নিজের শরীরে কিছু পরিবর্তন অনুভব করে। এই পরিবর্তন হতে পারে স্তনে ব্যথা, নিজের শরীরে অদৃশ্য পরিবর্তন ইত্যাদি। এই ধরণের পরিবর্তন যদি অনুভব করা হয়, তবে এটি গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনার ইঙ্গিত হতে পারে।


**২. মাসিক পিরিয়ড এর মিস:**

মাসিক পিরিয়ড এর সময়ে মিস হওয়া হলে এটি গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ হতে পারে। স্বাভাবিকভাবে যদি মাসিক পিরিয়ড সময়ে মিস হয়, তবে এটি একটি গর্ভবতী হওয়ার সংকেত হতে পারে।


**৩. শারীরিক অসুবিধা:**

অনেক সময়ে গর্ভবতী মহিলাদের শারীরিক অসুবিধা অনুভব হতে পারে। এটি হতে পারে মুখের স্বাদ পরিবর্তন, শারীরিক ব্যথা, শারীরিক অস্বস্তি ইত্যাদি। এই ধরণের অসুবিধা গর্ভবতী হওয়ার সংকেত হতে পারে।


**৪. সাধারণ অসুবিধা ও অস্বাভাবিক অনুভব:**

গর্ভবতী হওয়ার সময় মহিলাদের অনেকে সাধারণ অসুবিধা অনুভব করেন। এটি হতে পারে সাধারণ অসুবিধা অনুভব হওয়া, ক্ষুধা বাড়া, নিউজ বুস্ট, শারীরিক অস্বাভাবিক অনুভব ইত্যাদি।


**৫. মনের অস্থিরতা:**

গর্ভবতী হওয়ার সময় মহিলাদের মনের অস্থিরতা অনুভব করতে পারে। এটি হতে পারে মনের অস্থিরতা, চিন্তা, বিশেষত গর্ভবতী হওয়ার চিন্তা ইত্যাদি।


এই সব লক্ষণগুলি একসাথে থাকলে মহিলারা গর্ভবতী হওয়ার সংকেত হতে পারে। 



=====================000000======================

মাসিকের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় | ঘরোয়া উপায় আছে যা মাসিকের ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।

 

মাসিকের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়



মাসিকের ব্যথা একটি সাধারণ নারীদের অভিজ্ঞতা। এটি প্রতি মাসে আসা সাধারণ ঘটনা, যা অনেকের জীবনে অসুখ ও অসুবিধা তৈরি করে। এই অসুখের সাথে সম্পর্কিত সমস্যাগুলি মহিলাদের জীবনে অনেক অসুবিধা তৈরি করতে পারে। তবে, এই সমস্যা সহজে নিরাময় করা সম্ভব। এখানে কিছু ঘরোয়া উপায় আছে যা মাসিকের ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।


**১. শারীরিক ব্যায়াম:**

মাসিক আগমনের সময়ে নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করা যেতে পারে। এটি অনেকের জন্য কার্যকর হতে পারে যেখানে মাসিক ব্যথা কমে এবং স্বাস্থ্যকর থাকে। যোগাযোগে হাঁটা, সাধারণ প্রাণায়াম প্রক্রিয়া, যোগাযোগে যোগ করা যেতে পারে।


**২. পুষ্টিকর খাবার:**

মাসিকের সময়ে উচিত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা উচিত। বিশেষত ফল, সবজি, গায়া ইত্যাদি মাসিকের সময়ে খাবারে অন্যত্র ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে। পুষ্টিকর খাবারের মাধ্যমে মহিলাদের স্বাস্থ্য ভালো থাকতে পারে।


**৩. পানি পান:**

নিয়মিত পানি পান করা মাসিকের সময়ে ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে। প্রতি দিন প্রতি নির্দিষ্ট পরিমাণ পানি খাবার দরকার রয়েছে। পানির অভাবে শরীরের ঠিকমতো সারানো কাজ হতে পারে না এবং মাসিকে অনেক সমস্যা হতে পারে।


**৪. রিল্যাক্সেশন টেকনিক:**

মাসিক সময়ে মনের শান্তি সম্পর্কে চিন্তা করা উচিত। ধ্যান করা, মেডিটেশন, প্রাণায়াম ইত্যাদি রিল্যাক্সেশন টেকনিক মাসিকের ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।



**৫. গরম পদার্থ সংযোগ:**

মাসিকের সময়ে গরম পদার্থ ব্যবহার করা উচিত। গরম পানির ব্যবহার, হট প্যাড ব্যবহার, গরম কাপড় ইত্যাদি মাসিকের ব্যথা কমাতে সাহায্য কর

মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর উপায়

 মেয়েদের স্বাস্থ্য ও শারীরিক সান্ত্বনা জন্য ওজন নিয়ন্ত্রণ সাধারণভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তবে দ্রুত ওজন কমানো নির্দিষ্ট সময়ে নিশ্চিত উপায় নয়। কোনও সমস্যা বা স্বাস্থ্যগত অসুস্থতা বিনা চিকিৎসার বিশেষত শিশুদের ওজন নিয়ন্ত্রণ করা উচিত নয়। তবে, স্বাস্থ্যগত পরামর্শকের নির্দেশনা অনুযায়ী মেয়েদের কিছু উপায় আছে যা ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে:



1. **স্বাস্থ্যকর খাবার:** নিয়মিত ও সঠিক পরিমাণে পুষ্টিগুলি সম্পন্ন খাবার মেয়েদের পরামর্শ করা হয়। সবজি, ফল, প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার ও প্রচুর পানি প্রয়োজন।


2. **নিয়মিত ব্যায়াম:** ব্যায়াম মেয়েদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম যেমন সাধারণ গায়েবোধক ব্যায়াম, যোগাযোগ ব্যায়াম ইত্যাদি করা উচিত।


3. **পর্যাপ্ত শুতের নিশ্চিত হওয়া:** মেয়েদের জন্য পর্যাপ্ত শুতের নিশ্চিত করা প্রয়োজন। অনুযায়ী বেশি কাজ করলে শারীরিক শ্রম দ্বারা তাদের অনুকূল হতে হয়।


4. **প্রতিনিয়ত নিয়মিত খাবারের সময় অনুসরণ করা:** নিয়মিত সময়ে খাবার খেতে হলে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ হয়।


5. **সময়ে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও পরামর্শ:** মেয়েদের শারীরিক অবস্থার উন্নতির জন্য নিয়মিতভাবে তাদের চিকিত্সকের সাথে যোগাযোগ রখা উচিত।


6. **বিশেষজ্ঞের পরামর্শ:** যদি মেয়েদের ওজন নিয়ন্ত্রণ বা স্বাস্থ্যগত সমস্যার সাথে সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে সমাধান না পাওয়া যায়, তাহলে বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করা উচিত।


মেয়েদের ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং স্বাস্থ্যের জন্য মানসিক ও শারীরিক

বয়স ৪০ পেরিয়েছে? শরীরচর্চা শুরু করার আগে মহিলাদের মাথায় রাখতে হবে ৫ বিষয়

 বয়স ৪০ পেরিয়েছে? শরীরচর্চা শুরু করার আগে মহিলাদের মাথায় রাখতে হবে ৫ বিষয়


💪💪💪একটা বয়সের পর মেয়েদের শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হতে শুরু করে। তাই শরীরচর্চা শুরু করার আগে কিছু নিয়ম বুঝে নেওয়া উচিত।


কী ধরনের ব্যায়াম বা শরীরচর্চা করবেন, তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ কার কাছে প্রশিক্ষণ নেবেন। ছবি- সংগৃহীত
👇👇
শরীরের সব মেদ ঝরে গেলেও পেটের ওই থলথলে চর্বি কিছুতেই কমতে চায় না। এই সমস্যা ছেলে, মেয়ে নির্বিশেষে সকলেরই হতে পারে। তবে বয়স ৪০ পেরোলে এই সমস্যা কিন্তু আরও জাঁকিয়ে বসে। তখন খাওয়ার তালিকায় পরিবর্তন করেও কিছুতেই কমানো যায় না পেটের মেদ। তবে এই প্রসঙ্গে মেয়েদের একটু বেশি সতর্ক হতে হয়। কারণ একটা বয়সের পর মেয়েদের শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হতে শুরু করে। যার ফলে শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ সকলেই শরীরচর্চা করার পরামর্শ দেন। তবে এ ক্ষেত্রে, কী ধরনের ব্যায়াম বা শরীরচর্চা করবেন, তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে কার কাছে প্রশিক্ষণ নেবেন। এ ছাড়াও আর কোন কোন বিষয় যাচাই করে নেওয়া জরুরি?

১) স্ট্রেন্থ ট্রেনিং👇👇👇👇👇💓💓

শুধু বডি বিল্ডার বা অ্যাথলিটদেরই যে স্ট্রেন্থ ট্রেনিং করতে হয়, এমনটা কিন্তু নয়। আবার অনেকেই মনে করেন, ওজন নিয়ে শরীরচর্চা করলে বোধ হয় শরীরের গড়ন নষ্ট হয়ে যায়। এমন ধারণাও কিন্তু ভিত্তিহীন। দেহের পেশিগুলি সবল এবং সচল রাখতে ৪০-এর পরেও কিন্তু স্ট্রেন্থ ট্রেনিং শুরু করা যায়।

২) নমনীয়তা👇👇👇👇

শরীরের সব অঙ্গের নমনীয়তা বজায় রাখতে যোগাভ্যাস বা পিলাটিজ়ের মতো শরীরচর্চা করতে পারেন। এই ব্যায়ামে শরীর অভ্যস্ত হয়ে পড়লে ধীরে ধীরে ব্যায়ামের মাত্রাও বাড়ানো যেতে পারে।

3) শরীরের ইঙ্গিত বুঝতে হবে👇👇👇

শরীরচর্চা যেমন করতে হবে, তেমনই শরীরকে বিশ্রামও দিতে হবে। শুরুর দিকে ব্যথা হওয়া স্বাভাবিক। তাই বলে ব্যথা এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের ইঙ্গিতগুলি বুঝতে হবে। ঠিক যতটা শরীরচর্চা করলে শরীরে অতিরিক্ত চাপ পড়বে না বলে মনে হচ্ছে, ততটাই শরীরচর্চা উপযুক্ত। এ ক্ষেত্রে শরীরের উপর কোনও জোর করা যাবে না।

৪) স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া👇👇💚

শুধু শরীরচর্চা করলেই হবে না। নজর দিতে হবে খাওয়াদাওয়ার উপরেও। পুষ্টিকর খাবার না খেলে দেহের পেশি মজবুত হবে না। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারের পাশাপাশি রাখতে হবে সবুজ শাক-সব্জি। সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে জলও খেতে হবে।

৫) প্রশিক্ষক নির্বাচনে সতর্ক হতে হবে💪💪💪👇👇

যোগব্যায়াম করুন বা জিম, সঠিক প্রশিক্ষক থাকা জরুরি। কারণ, বয়স এবং প্রত্যেকের শরীরের আলাদা আলাদা প্রয়োজন অনুযায়ী প্রশিক্ষকই ঠিক করে দেবেন, কার কতটুকু শরীরচর্চা করা জরুরি বা কে কী ধরনের ব্যায়াম করবেন। অন্যান্য বিষয়গুলির পাশাপাশি তাই প্রশিক্ষক নির্বাচনের ব্যাপারেও যথেষ্ট সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।

💓💓💓💓💓💓💓💓💚💚💚💚💚💛💛💛💛💛💛💛


সূত্রঃ আনন্দবাজার



গ‍্যাস হলেই ওষুধ নয়, সকালের ৩ অভ‍্যাসেই সুস্থ থাকবে পেট

 

👉গ‍্যাস হলেই ওষুধ নয়, সকালের ৩ অভ‍্যাসেই সুস্থ থাকবে পেট👇



গ‍্যাস হলেই ওষুধ খেয়ে নেওয়ার প্রবণতা রয়েছে অনেকের। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, সকালের কয়েকটি অভ‍্যাসেই গ‍্যাস-অম্বলের ঝুঁকি কমবে।


গ‍্যাস হলেই ওষুধ খেয়ে নেওয়ার প্রবণতা রয়েছে অনেকেরই। ছবি: সংগৃহীত।

💚💛হজমের গোলমালে ভোগেন না এমন মানুষ ইদানীং প্রায় বিরল বলা চলে। নানা বয়সে হানা দিচ্ছে এই রোগ। খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম, শরীরের পর্যাপ্ত যত্ন না নেওয়া, বাইরের খাবারের প্রতি ঝোঁক—গ‍্যাস-অম্বলের নেপথ‍্যে রয়েছে এই কারণগুলি। গ‍্যাস হলেই ওষুধ খেয়ে নেওয়ার প্রবণতা রয়েছে অনেকেরই। তাতে সাময়িক স্বস্তি হয়তো পাওয়া যায়, কিন্তু এই ধরনের ওষুধ শরীরের উপর প্রভাব ফেলে। তার চেয়ে গ‍্যাসের সমস‍্যা থেকে কী ভাবে দূরে থাকা যায়, সে দিকেই জোর দেওয়া জরুরি। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, সকালের কয়েকটি অভ‍্যাসেই গ‍্যাস-অম্বলের ঝুঁকি কমবে।


💥💥ভেজানো কাঠবাদাম খান

কাঠবাদাম অত‍্যন্ত স্বাস্থ‍্য উপকারী। ভিটামিন ই, ম‍্যাঙ্গানিজ, খনিজ পদার্থ, ফ্ল‍্যাভোনয়েডে সমৃদ্ধ কাঠবাদাম কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানো ছাড়াও গ‍্যাস-অম্বলের ঝুঁকি কমায়। তা ছাড়া কাঠবাদামে ফাইবারের পরিমাণও অনেক বেশি। ফাইবার হজমজনিত সমস‍্যা শুরুতেই রুখে দেয়। ফলে ভাল থাকে পেটের স্বাস্থ‍্য।

ওজন ঝরাতে অনেকেই সকালে গরম জলে লেবু এবং মধু মিশিয়ে খেয়ে থাকেন। গ‍্যাস-অম্বলের সমস‍্যা কমাতেও এই পানীয়ের উপর ভরসা রাখা যেতে পারে। শুধু উপকরণ থেকে মধু বাদ দিলেই হবে। পেট ফাঁপা, গ‍্যাস পেট ফুলে যাওয়ার মতো অস্বস্তি কমাতেও এই জল খুব উপকারী।

👉👉শরীরচর্চা

ওজন কমানো থেকে গ‍্যাস-অম্বল, অসুস্থতার ঝুঁকি এড়াতে শরীরচর্চার সত‍্যিই কোনও বিকল্প নেই। পেটের গোলমাল কমাতেও নিয়ম করে শরীরচর্চা করা প্রয়োজন।


👆👆👆👆👆👆💗💗💗💗☝☝☝☝☝☝☝☝☝


সূত্রঃ আনন্দবাজার








এক সপ্তাহে ওজন কমানোর ব্যায়াম

স্বাস্থ্যকর ওজন অ্যাক্সেস করা কারও কারও পক্ষে কঠিন হতে পারে, ব্যায়াম ছাড়াই ডায়েটের উপর তাদের মোট নির্ভরতা, যা ওজন কমানোর সর্বোত্তম এবং দ্রুততম উপায় হিসাবে বিবেচিত হয়, এটি আপনাকে শরীরে চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে, শক্ত, আস্ট্রাল ছাড়াই কাঙ্ক্ষিত ওজন অর্জন করতে আপনার ত্বক, যাদের বেশির ভাগই যারা ভোগেন তারা ডায়েটের মাধ্যমে উচ্চ ওজন কমায়, তাই যদি আপনার লক্ষ্য স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন কমানো হয়, আমরা সঠিক প্রবন্ধে এসেছি, আমরা ওজন কমানোর ব্যায়াম সম্পর্কে কথা বলব যা আপনি ঘরে বসে করতে পারেন। **ওজন কমানোর ব্যায়াম: আপনি যদি ওজন কমানোর জন্য ব্যায়াম করতে চান, কিন্তু আপনি স্পোর্টস ক্লাবে যেতে না পারেন বা মানুষের সামনে ব্যায়াম করতে লজ্জিত হন, তাহলে হতাশ হবেন না যে আপনি একা বাড়িতে অনুশীলন করতে পারেন। - অনুশীলনী 1: হালকা ওজনের জন্য আপনার এই ব্যায়ামের প্রয়োজন হবে, দাঁড়ানোর জন্য, আপনার পায়ের মধ্যে একটু ফাঁক করে, এবং আপনার হাত দিয়ে ওজন ধরে রাখুন এবং আপনার মাথার উপরে আরফাহমা, তারপর আপনার হাঁটু ভাঁজ করে আপনার শরীরের কিছুটা নিচে, এবং আপনার হাতের মধ্যে নীচে। একই সময়ে আপনার বুক ক্রস করুন, এবং কয়েক সেকেন্ডের জন্য এই অবস্থানে রাখুন, তারপর পূর্ববর্তী অবস্থানে ফিরে যান এবং বলটি পনের বার প্রস্তুত করুন। - ব্যায়াম 2: সমর্থন করুন এবং বাম হাত দিয়ে একটি লাইটওয়েট ধরুন, তারপর পিছনের দিকে বাঁকিয়ে পিছন থেকে পা তুলুন, পিঠটি আনুভূমিকভাবে সোজা এবং মাটির সমান্তরাল হয়ে উঠুন এবং ডান হাত দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করার জন্য একটি চেয়ার ধরুন এবং আপনার বাম হাত নীচে রাখুন এবং এটি উপরে তুলুন, এবং বিশ সেকেন্ডের জন্য Bhdh আন্দোলন চালিয়ে যান, তারপর বলটি আপনার হাতে রাখুন। - ব্যায়াম 3: সোজা হয়ে দাঁড়ান এবং আপনার বাম পা একটি চেয়ারে তুলুন, এবং উভয় হাতে হালকা ওজন বহন করুন, তারপরে বাম পায়ে ওজনের ঘনত্ব সহ চেয়ারের ডানদিকে ব্যাসাককে তুলুন এবং আপনার হাত দিয়ে ওজন উপরে তুলুন। একই সময়ে আপনার কাঁধে, এবং বলটি পনের বার প্রস্তুত করুন, তারপর পরিবর্তন পা দিয়ে বলটি পুনরায় চালু করুন। - ব্যায়াম 4: আপনার পেটের উপর শুয়ে পড়ুন, আপনার শরীরের উত্তোলনের সাথে আপনার বাহু কিছুটা বাঁকুন এবং আপনার পায়ের আঙ্গুলগুলি ভিতরের দিকে বাঁকুন, তারপর পেটের বোতামটি ভিতরের দিকে টেনে আপনার নিতম্ব তুলুন, আপনার শরীরের আটের আকার নিতে এবং দশ সেকেন্ডের জন্য এই অবস্থানে ধরে রাখুন, তারপর শুরুর অবস্থায় ফিরে আসুন, এবং বল প্রস্তুত করুন পাঁচ-দশ বার। - ব্যায়াম 5: আপনার পিঠের উপর শুয়ে, আপনার পায়ের মধ্যে নৌকা, তারপর প্রায় পেট পেতে একসঙ্গে Arfhma শীর্ষে, তারপর তাদের মধ্যে ব্যবধান সঙ্গে অবতরণ প্রস্তুত, তারপর তাদের মধ্যে একটি নৌকা এবং পনের বার বল প্রস্তুত.

গলা ব্যাথা কমাতে নিজে তৈরি করুন

 



এই শীতে ফ্লু জাতীয় সমস্যা লেগেই থাকে। কিন্তু এর মধ্যেই আবার ঊর্ধ্বমুখী কোভিড সংক্রমন। এই সময়ে ঘরে ঘরে ছোট-বড় অনেকেরই সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা লেগেই থাকে। সমস্যাগুলো মৃদু হলেও সারতে বেশ সময় লাগে। বেশি বেশি ওষুধ খেতে হয় এ জন্য। অনেকের আবার ওষুধ খেতে ভালো লাগে না, অধিক পরিমানে ওষুধ সেবন শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ। ফলে সহজে ভালো হবার উপায় খোঁজেন অনেকে।

এ অবস্থায় কিছু ঘরোয়া টোটকা দিতে পারে সমাধান। আর তা রয়েছে রান্নাঘরেই। মাত্র দু’টি উপাদান দ্রুত ঠান্ডা লাগার সমস্যা ও গলা ব্যথা থেকে আরাম দিতে পারে।

দেখে নেয়া যাক উপাদান দুটি কি-
হলুদ এবং মধু প্রায় সব বাড়িতেই থাকে। এই দু’টি উপাদানই এ সমস্যার সামধান দিতে পারে। হলুদ এবং মধুতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাক্টিরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট। কমাতে পারে প্রদাহও। হলুদে উপস্থিত কার্ক্যুমিনয়েড কমাতে পারে অ্যালার্জির সমস্যাও। পাশাাপাশি মধু, সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে।

এই দু’টি উপাদান একসঙ্গে খেলে প্রদাহ কমে। গলা ব্যথা কমে। সর্দি-কাশিও কমে।

হলুদ আর মধু একসঙ্গে মিশিয়ে খাবেন যে ভাবে-
একটি কাপে আধ চামচ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে নিন দু’চামচ হলুদ আর দু’ফোঁট লেবুর রস। মিশ্রণটি সংরক্ষণ করুন। ঠান্ডা লাগার সমস্যা হলেই দিনে তিনবার আধা চামচ করে খান। অল্প দিনেই মিলবে আরাম।
সূত্র: আনন্দবাজার

গাজর স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়

 



গাজর সবজির মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। শীতকালে প্রায় প্রতিদিনের সঙ্গী। স্বাদেই শুধু নয়, এর রয়েছে বহুমাত্রিক গুনাবলি। পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ভিটামিন সমৃদ্ধ গাজর শরীর সুস্থ রাখার বেশ ভূমিকা রাখে। 

যেকোন খাবারেই গাজর স্বাদের মান বহুগুন বাড়িয়ে দেয়। আর যদি হয় গাজরের হালুয়া তাহালে তো কথাই নেই। গাজরের উপকারী গুণ শরীরের বিভিন্ন সমস্যার দ্রুত সমাধানও করে।

দেখে নেওয়া যাক গাজরের নানা গুনাবলি-
গাজরের রস লিভার ভাল রাখতে সক্ষম। গাজরে উপস্থিত বিটা-ক্যারোটিন এবং ফ্ল্যাভোনয়েড উপাদান লিভারের কার্যকারিতা সচল ও স্বাভাবিক রাখে।

গাজরে ফ্যালকারিনল নামক একটি রাসায়নিক যৌগ থাকে। যা ক্যানসারের প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে স্তন ক্যানসারেরর ঝুঁকি কমাতে গাজরের ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেক দিন গাজর খেলে মহিলাদের স্তন ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায় প্রায় ৬০ শতাংশ। ক্ষতিগ্রস্থ কোষগুলির মেরামতেও গাজরের রস অপরিহার্য।

ফাইবার ও ভিটামিন এ সমৃদ্ধ গাজর ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য বেশ উপকারী। গাজর রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য গাজর উপকারী একটি সব্জি।
সুত্র: আনন্দবাজার,একুশে টেলিভিশন

ব্রণ সারাতে নতুন উপায়

 




আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্রণ, র্যা শ, মুখ অথবা ত্বকের লালচে বা কালচে দাগ প্রায়ই দেখা দেয়। যা নিয়ে অস্বস্তির শেষ থাকে না। 

তবে এবার  এই সমস্যা সমাধানে পথ দেখাচ্ছে সম্প্রতি হয়ে যাওয়া এক গবেষণা।

গবেষণার ফল জানাচ্ছে, মানবত্বককে গড়ে উঠতে সাহায্য করে এবং ত্বকের ক্ষত সারিয়ে তুলতে ভূমিকা রাখে যে কোষগুলো, সেগুলোর কারণেই র্যা শ অথবা ত্বকের লালচে বা কালচে দাগ হয়। কারণ ত্বকের এই কোষগুলিই ফ্যাট (চর্বি) বা নানা ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড তৈরি করে, আর এই ফ্যাট থেকেই ব্রণ হয়। 

সম্প্রতি হয়ে যাওয়া এই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘সায়েন্স ট্রান্সলেশনাল মেডিসিন’-এ।

সেই গবেষণায় অংশ নেওয়া বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানিয়েছেন, এই গবেষণার ফলাফল আগামী দিনে ব্রণ, র্যা শ দ্রুত পুরোপুরি সারানোর ওষুধ আবিষ্কার বা নতুন চিকিৎসাপদ্ধতির পথ খুলে দিতে পারে।

এই একই বিষয়ে আমেরিকার সান দিয়েগোর ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দেখেছেন, ফাইব্রোব্লাস্টসের কিছু কিছু কোষ যারা মূলত চর্বি তৈরি করে, তৈরি করে নানা ধরনের ফ্যাটি অ্যসিড, শরীরে ঢুকে ব্রণ তৈরি করার ব্যাক্টেরিয়া ফাইব্রোব্লাস্টসের সেই কোষগুলির সংখ্যা খুব বাড়িয়ে দেয়। তার ফলে প্রদাহ হয়। হয় ব্রণ, র্যা শ অথবা ত্বকের লালচে বা কালচে দাগ।

সান দিয়েগোর ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা আরো জানিয়েছে, ফাইব্রোব্লাস্টসের কোষগুলি চর্বি কোষ তৈরি করার সময়েই ক্যাথেলিসিডিন নামে এক ধরনের পেপটাইড (প্রোটিন)-এর নিঃসরণ খুব বেড়ে যায়। এই ক্যাথেলিসিডিন কিন্তু ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাক্টেরিয়া মেরে ফেলতে পারে খুব তাড়াতাড়ি।

আর গবেষণা শেষ দিকে এই বিষয়ে সুখবর দিয়েছেন গবেষকগণ। তারা বলছে, ওষুধ দিয়ে বা অন্য কোনও চিকিৎসা পদ্ধতিতে দেহে ক্যাথেলিসিডিনের নিঃসরণ বাড়ানো সম্ভব হলে আগামী দিনে ব্রণ, র্যা শ অথবা ত্বকের লালচে বা কালচে দাগ খুব দ্রুত পুরোপুরি সারিয়ে তোলা যাবে।

সূত্রঃ একুশে টেলিভিশন 

ডায়াবেটিসের ১০ লক্ষণ পরীক্ষা জরুরি করুন

 

ডায়বেটিস মেশিন:



ডায়াবেটিক আক্রান্ত ৫০ শতাংশের বেশি মানুষ টেরই পাননা যে তারা এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। অন্য কোন রোগের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে গিয়ে তাদের এই রোগটি ধরা পড়ে। কিন্তু ডায়াবেটিস রোগটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে দীর্ঘদিন সুস্থ জীবনযাপন করা সম্ভব, বলছেন চিকিৎসকরা।

জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান (নিপোর্ট)-এর একটি জরিপে দেখা গেছে, দেশে মোট ডায়াবেটিস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা এক কোটি ১০ লাখ। এদের মধ্যে ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সীদের সংখ্যা ২৬ লাখ আর ৩৫ বছরের বেশি বয়সীদের সংখ্যা ৮৪ লাখ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘদিন ডায়াবেটিস অশনাক্ত থাকলে বা চিকিৎসা না হলে কিডনি, লিভার, চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই সঙ্গে শরীরের ত্বক নষ্ট হয়ে যায়, চুল পড়ে যায়। শরীরের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গও ক্ষতির শিকার হতে পারে

বিশেষজ্ঞরা বলেন, যারা যত বেশি শারীরিক পরিশ্রম করবেন, প্রতিদিন যদি অন্তত ১০ হাজার কদম কেউ হাঁটেন, তাহলে ডায়াবেটিক হলেও সেটা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকবে। এছাড়া টাইপ-২ ধরনের ডায়াবেটিসের ৭৫ শতাংশ ক্ষেত্রেই আগেভাগে সতর্ক থাকলে, শারীরিক পরিশ্রম করলে এবং খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাপনে নিয়ন্ত্রণ আনলে ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব। কিন্তু একবার ডায়াবেটিস হয়ে গেলে আর এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না।

যেসব লক্ষণ দেখলে সতর্ক হতে হবে এবং করাতে হবে পরীক্ষা-

* ঘনঘন প্রস্রাব হওয়া ও পিপাসা লাগা

* দুর্বল লাগা, ঘোর ঘোর ভাব আসা

* ক্ষুধা বেড়ে যাওয়া

* সময়মতো খাওয়া-দাওয়া না হলে রক্তের শর্করা কমে হাইপো হওয়া

* মিষ্টি জাতীয় জিনিসের প্রতি আকর্ষণ বেড়ে যাওয়া

* কোন কারণ ছাড়াই অনেক ওজন কমে যাওয়া

* শরীরে ক্ষত বা কাটাছেঁড়া হলেও দীর্ঘদিনেও সেটা না সারা

* চামড়ায় শুষ্ক, খসখসে ও চুলকানি ভাব

* বিরক্তি ও মেজাজ খিটখিটে হয়ে ওঠা

* চোখে কম দেখতে শুরু করা

যাদের ঝুঁকি বেশি
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যাদের বাবা-মা, ভাই-বোন বা ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজনদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তাদের এই রোগটিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি রয়েছে। 

* যারা নিয়মিত হাঁটাচলা বা শারীরিক পরিশ্রম করেন না, অলস বা অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করেন, তাদের এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।

* নারীদের গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস রোগ হতে পারে।

* যাদের হৃদরোগ রয়েছে, রক্তে কোলেস্টেরল বেশি, উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, তাদেরও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

* যেসব শিশুর ওজন বেশি, যাদের বাবা-মা, ভাই-বোন, দাদা-দাদী, নানা-নানী বা ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজনের ডায়াবেটিস রয়েছে, যাদের মায়ের গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস হয়েছিল, সেই সব শিশুর ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

ডায়াবেটিস যত তাড়াতাড়ি শনাক্ত করা যাবে, সেই রোগীর জন্য সেটা ততো ভালো। তাতে তিনি যেমন রোগটির চিকিৎসা দ্রুত শুরু করতে পারবেন, পাশাপাশি তার জীবনযাপনও একটি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে চলে আসবে। সূত্র: ১।বিবিসি বাংলা,২।www.ekushey-tv.com/health/news/117102

জরায়ুমুখ ক্যান্সার ৮০% ভালো হয়

 



যৌনাঙ্গের সব রোগের মধ্যে সবচেয়ে জটিল জরায়ু মুখ ক্যান্সার। তবে এটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রতিরোধযোগ্য। সমাজে যদি সচেতনতা আসে তাহলে ক্যান্সার বহুলাংশে কমানো সম্ভব।

জরায়ুমুখ ক্যান্সার বিশ্বের দ্বিতীয় প্রধান ক্যান্সার। প্রতি বছর লাখ ৭০ হাজার নারী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। এরমধ্যে ৫০% নারীই মৃত্যুবরণ করেন। বাংলাদেশেও এই ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। ১২ হাজার ৫শ নারী। ঘন্টায় জন করে মারা যান। তবে নারী দেহের যৌনাঙ্গের এই ক্যান্সারই সর্বাধিক সফলভাবে প্রতিরোধ যোগ্য। সচেতনতাই পারে এই ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে। সাধারণত ২০ বছরের নিচে রোগ হয় না। আক্রান্তরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ৩৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সী হয়ে থাকেন।

জরায়ুমুখ ক্যান্সার ক্যান্সারে রূপান্তরিত হতে একটু বেশি সময় নেয়। স্বাভাবিক কোষগুলো ক্যান্সার কোষে রূপান্তরিত হতে ১০-২০ বছর সময় নেয়। ক্যান্সার কোষে রূপান্তর হলে রোগটি দ্রুত বাড়তে থাকে। কখনও পিন্ডের মতো আকার ধারণ করে কখনও ঘা এর মতো হয়। তখন বিভিন্ন লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়।

থেকে বাঁচার জন্য প্রথমেই আচরণগত প্রতিরোধের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। যেমন: বাল্য বিবাহ রোধ, ধূমপান করা, পানের সঙ্গে জর্দা, সাদা পাতা, দাঁতের গোড়ায় গুল ইত্যাদি কারণে এই ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ে বিধায় তা প্রতিরোধ করতে হবে। সুষম খাবার গ্রহণ, ফলমূল শাকসব্জি খাওয়া, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, স্বাস্থ্যসম্মত, সুশৃঙ্খল জীবন যাপন সামাজিক অনুশাসন মান্য করা এই রোগ প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা পালণ করে।

দ্বিতীয়ত জরায়ুমুখে ক্যান্সার প্রতিরোধক টিকা নেওয়া যায়। বাজারে `গার্ডাসিল` ` সারভারিক্স` নামে ভ্যাক্সিন পাওয়া যায়। সাধারণত ১০ বছরের পর থেকেই এই টিকা নেওয়া যাবে। প্রথম ডোজের এক মাস পর দ্বিতীয় ডোজ এবং প্রথম ডোজের ছয় মাস পর তৃতীয় ডোজ টিকা নিতে হয়। আমেরিকার FDA অনুযায়ী -২৫ বছর বয়সে টিকা কার্যকর হয়। গর্ভাবস্থায় টিকা প্রদানের অনুমোদন নেই। ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পর টিকা আর কোন কাজে আসে না।

তৃতীয় সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিরোধ ব্যবস্থা হলো যথাযথ স্ক্রীনিং। ডাক্তার বা স্বাস্থ্যকর্মী সহজে জরায়ুমুখ দেখতে এবং পরীক্ষা করতে পারেন। রোগে আক্রান্ত হওয়ার আগে জরায়ু মুখে অনেকদিন ধরে একটি ক্যান্সার পূর্ব অবস্থা বুঝা যায় কিংবা ভবিষ্যতে ক্যান্সারের আশংকা আছে কিনা তা নির্ণয় করা যায়। Pap smear এবং via হলো এরকমই স্ক্রীনিং টেস্ট।

VIA আমাদের দেশে সব সরকারি বড় হাসপাতালে বিনামূল্যে সহজেই করা যায়। ১৮ থেকে ৬০ বছর পর্যন্ত নারীদের বছরে একবার এই পরীক্ষা করা উচিত। পরপর দুই বার নেগেটিভ হলে বা বছর পরপর দুইবার পরীক্ষা করাবেন।

জরায়ু মুখের ক্যান্সারের চিকিৎসা রোগের ধাপ অনুযায়ী হয়ে থাকে। যদি কারো ক্যান্সার পূর্ব অবস্থা (CIN) থাকে তাহলে তা নিয়মিত স্ক্রীনিং করে জরায়ুমুখে সামান্য সেক দিয়ে অথবা LEEP এর মাধ্যমে সারানো যায়। বয়স্ক মহিলা হলে জরায়ু ফেলে দেওয়া যায়। যদি ক্যান্সার হয়ে যায় তাহলে ক্লিনিকাল স্টেজিং করা হয়। রোগীকে অজ্ঞান করে স্টেজিং করা হয়। এবং বায়োপসি নেওয়া হয়।

ক্যান্সার কতোটা ছড়িয়েছে তা দেখা হয় স্টেজিং এর মাধ্যমে। স্টেজ- এবং স্টেজ- কিছু ক্ষেত্রে অপারেশন করা হয়। এই অপারেশনটি খুবই জটিল এবং নির্দিষ্ট হাসপাতালে হয়ে থাকে। স্টেজগুলোতে রেডিও থেরাপি অথবা কেমোথেরাপী দেওয়া যেতে পারে।

জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট হাসপাতের ক্যান্সার ইপিডেমিওলজি বিভাগ থেকে সর্বশেষ প্রকাশ করা প্রতিবেদন মতে, ২০০৫ সালে মোট হাজার ২৭৫ জন নারী রোগীর মধ্যে জরায়ুমুখ ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা ৫৬১ জন। তথ্য আছে, PAP SMEAR করে জরায়ুমুখ ক্যান্সার ৮০% এবং এর ফলে মৃত্যু ৭০% কমানো সম্ভব।

নিরাপদ যৌন মিলন, জরায়ুমুখ টিকা, VIA, PAP SMEAR এর মাধ্যমে যেমন এই ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায় তেমনি তাড়াতাড়ি রোগ নির্ণয় হলে সফল চিকিৎসার মাধ্যমে বহুলাংশে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাই সবার মধ্যে ব্যাপারে জনসচেতনতা খুবই দরকার।

লেখক পরিচিতি: ডা. উম্মুল খায়ের মাহমুদা একজন প্রসূতি, স্ত্রী বন্ধ্যাত্ব বিশেষজ্ঞ এবং সার্জন। তিনি শিশু মাতৃস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট শমরিতা হাসপাতালে কাজ করেন।


 


Hey, we've just launched a new custom color Blogger template. You'll like it - https://t.co/quGl87I2PZ
Join Our Newsletter