আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্রণ, র্যা শ, মুখ অথবা ত্বকের লালচে বা কালচে দাগ প্রায়ই দেখা দেয়। যা নিয়ে অস্বস্তির শেষ থাকে না।
তবে এবার এই সমস্যা সমাধানে পথ দেখাচ্ছে সম্প্রতি হয়ে যাওয়া এক গবেষণা।
গবেষণার ফল জানাচ্ছে, মানবত্বককে গড়ে উঠতে সাহায্য করে এবং ত্বকের ক্ষত সারিয়ে তুলতে ভূমিকা রাখে যে কোষগুলো, সেগুলোর কারণেই র্যা শ অথবা ত্বকের লালচে বা কালচে দাগ হয়। কারণ ত্বকের এই কোষগুলিই ফ্যাট (চর্বি) বা নানা ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড তৈরি করে, আর এই ফ্যাট থেকেই ব্রণ হয়।
সম্প্রতি হয়ে যাওয়া এই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘সায়েন্স ট্রান্সলেশনাল মেডিসিন’-এ।
সেই গবেষণায় অংশ নেওয়া বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানিয়েছেন, এই গবেষণার ফলাফল আগামী দিনে ব্রণ, র্যা শ দ্রুত পুরোপুরি সারানোর ওষুধ আবিষ্কার বা নতুন চিকিৎসাপদ্ধতির পথ খুলে দিতে পারে।
এই একই বিষয়ে আমেরিকার সান দিয়েগোর ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দেখেছেন, ফাইব্রোব্লাস্টসের কিছু কিছু কোষ যারা মূলত চর্বি তৈরি করে, তৈরি করে নানা ধরনের ফ্যাটি অ্যসিড, শরীরে ঢুকে ব্রণ তৈরি করার ব্যাক্টেরিয়া ফাইব্রোব্লাস্টসের সেই কোষগুলির সংখ্যা খুব বাড়িয়ে দেয়। তার ফলে প্রদাহ হয়। হয় ব্রণ, র্যা শ অথবা ত্বকের লালচে বা কালচে দাগ।
সান দিয়েগোর ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা আরো জানিয়েছে, ফাইব্রোব্লাস্টসের কোষগুলি চর্বি কোষ তৈরি করার সময়েই ক্যাথেলিসিডিন নামে এক ধরনের পেপটাইড (প্রোটিন)-এর নিঃসরণ খুব বেড়ে যায়। এই ক্যাথেলিসিডিন কিন্তু ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাক্টেরিয়া মেরে ফেলতে পারে খুব তাড়াতাড়ি।
আর গবেষণা শেষ দিকে এই বিষয়ে সুখবর দিয়েছেন গবেষকগণ। তারা বলছে, ওষুধ দিয়ে বা অন্য কোনও চিকিৎসা পদ্ধতিতে দেহে ক্যাথেলিসিডিনের নিঃসরণ বাড়ানো সম্ভব হলে আগামী দিনে ব্রণ, র্যা শ অথবা ত্বকের লালচে বা কালচে দাগ খুব দ্রুত পুরোপুরি সারিয়ে তোলা যাবে।
সূত্রঃ একুশে টেলিভিশন
কোন মন্তব্য নেই:
Write Comments